পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন: ঢাবির সিনেটে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহিত।

37

পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবে রূপ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধন্যবাদ প্রস্তাব সিনেট অধিবেশনে গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এ ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

বিকেল ৩টা থেকে এ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিনেটের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এসময় ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি ও নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ। তার প্রস্তাবে সমর্থন করেন সিনেটের দুই শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া এবং অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম। পরে ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ধন্যবাদ প্রস্তাবে অধ্যাপক ছামাদ বলেন, দেশি, বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র, বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার অসহযোগিতা এবং নানা প্রতিকূলতার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির ঘোষণা দেন। এমন বৈরী পরিস্থিতিতে হিমালয়ের মত অটল থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। কোটি কোটি বাঙালিকে যে স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছিলেন তা তিনি বাস্তবায়িত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তব, আগামী ২৫ জুন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। স্বাধীনতার পর এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় বিজয়। এই সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মা সেতু একদিকে যেমন সারাদেশকে একত্রিত করেছে, অন্যদিকে এই সেতু জাতীয় উন্নয়নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

পদ্মা সেতু ছাড়াও মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মেগা প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হওয়ার পথে। এগুলো বাস্তবায়ন আমাদের আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাকে নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি করবে। আমরা অনেক গর্বিত ও অনেক উচ্ছ্বসিত। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট অধিবেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নের জন্য অভিনন্দন, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর জন্য প্রস্তাব করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here