ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠনের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন

26
শেয়ার করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠনের (ডিইউমুনা) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে ২১শে সেপ্টেম্বর। সংগঠনটির নবনিযুক্ত সভাপতি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন ফাতমি এবং সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী সালেহ্ বিন অনাবিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের  সৃজনশীল বিকাশের জন্য জাতিসংঘের অধিবেশন ধারণার আওতায় কাজ করা একটি শিক্ষার্থীভিত্তিক সংগঠন হিসেবে, ডিইউমুনা সবসময় শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম, তাদের সৃজনশীল দক্ষতা এবং যুক্তিবাদী গুণাবলী উন্নয়নে উৎসর্গিত। সম্প্রতি নেপাল ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন ২০২৪-এ সেরা প্রতিনিধি দল পুরস্কার জয়ের সংযোজনসহ, প্রতি বছর সংগঠনটির প্রতিনিধি দলের দেশের ভেতরে এবং বাইরে নতুন অর্জনের জুড়ি মেলা ভার।

বরাবরের মতই সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে এই ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ। নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ডিউমুনার মডারেটর এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন । বেলা ১ টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে নতুন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন এবং ডিইউমুনার প্রতি তাঁর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ পর্যায়ে অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি তোমাদের (নতুন কমিটির উদ্দেশ্যে) পূর্বসূরিদেরকে তোমাদের সংগঠনের পতাকা অত্যন্ত গর্বের সাথে বহন করতে দেখেছি এবং তারা বহু ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, তোমরাও একইভাবে সফল হবে।’

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— সহ-সভাপতি পদে ভূতত্ত্ব বিভাগের নাজিফা আনজুম ,যুগ্ম সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, কোষাধ্যক্ষ পদে আহতাব জামিল মাহিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক স্বর্ণা সাহা, প্রচার সম্পাদক পদে তাহজিন মুনির ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুনজির রাহী।

এছাড়াও নির্বাচিত সাত কার্যনির্বাহী সদস্য হলেন- সামিউল হক, তাসনুভা তাবাসসুম সৃষ্টি, মো: শাফায়েত শাফী, ফারহান জামান, তাসনিম বিন মাহফুজ, মো: মহিউদ্দিন মঈন এবং রিফা তামান্না।

নির্বাচিত হবার পরে সভাপতি নওশীন ফাতমি জানান, ‘ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কারের যুগে আছি। আমি সংস্কারকে গন্তব্যের পরিবর্তে একটি যাত্রা হিসাবে দেখি এবং সংস্কারের এই যুগে প্রাথমিক দায়িত্ব আজকের তরুণদের উপর বর্তায়। আমি প্রত্যেককে এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে ছায়া জাতিসংঘ ও অর্গানাইজিং দুই ক্ষেত্রেই ইতিহাস সোনালি শব্দ দিয়ে পুনরায় লেখা হবে এবং আমি অবশ্যই আমার পূর্বসূরিরা যে অতুলনীয় মানদণ্ড স্থাপন করেছে তা বজায় রাখব।’

সাধারন সম্পাদক অনাবিল বলেন, ‘‘আমি এই পরিষদের প্রত্যেকটি ব্যক্তির সাথে কাজ করতে অত্যন্ত উৎসাহী এবং আনন্দিত। আমরা একসাথে এমন একটি ভিত্তি স্থাপন করে দিয়ে যাবো যা পরবর্তী প্রজন্মগুলোর জন্য একটি উদাহরনস্বরূপ থাকবে। সংগঠনের কাজ নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় ছোটখাটো বিষয়গুলোর ওপর নজর দেওয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়, আর আমি চাই এই দক্ষতা আমার পরের প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে।”

সদস্যদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার, নেতৃত্ব প্রদানে দক্ষতা ও গবেষণায় তৎপর অংশগ্রহনের জন্য ডিইউমুনা প্রায়শই প্রশংসিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালে গঠিত এই সংগঠন সম্প্রতি ৩০ মে থেকে ২ জুন বৃহৎ পরিসরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের (ডানমান) ১১ তম আবর্তন আয়োজন করেছে। ডানমান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আয়োজিত  সর্ববৃহৎ ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন। এছাড়াও প্রতিবছর স্কিল সার্জ, স্টাডি সার্কেল, অন্ত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে ডিইউমুনা।


শেয়ার করুন

LEAVE A REPLY

Specify Facebook App ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Facebook Login to work

Please enter your comment!
Please enter your name here