রিফাত রহমান সাদিত//
আজ ৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও নির্বাচন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্পেইন এডভোকেসী প্রোগ্রাম-এর ব্যবস্থাপনায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদের ডিন এবং ঢাবি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুর রহিম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলে আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের মৃত্যু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসক ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসার কারণে এদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা পুনরায় বাধাগ্রস্ত হয়। বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এদেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠিত ও সুদৃঢ় হয়েছে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বিদেশি পরাশক্তিসহ দেশবিরোধীদের সকল অপচেষ্টা প্রতিহত করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।
সেমিনারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।এছাড়াও ঢাবির শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো উক্ত সেমিনারে।