রিফাত রহমান সাদিত
নিজেদের মতো করে শিক্ষার্থীদের গড়ে ওঠার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সবসময় চামচ দিয়ে খাইয়ে দেওয়ার দরকার নেই। তারা নিজেদের মতো করে বড় হলে দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।’
শুক্রবার (১০ জুন) সকাল সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগীয় শহরে একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আমরা খবর পেয়েছি, তারা কোনও ধরনের সমস্যা ছাড়া যথাযথভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করছেন। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছি, প্রশ্নপত্রের মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘ক-ইউনিটের পরীক্ষাটি সমন্বয় করছেন ফার্মাসি অনুষদের ডিন ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তিনি এবং তার টিম এখানে আছেন। তারাও অবহিত করেছেন, এই ইউনিটেই পরীক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি। এখানে ১ হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে প্রায় ১ লাখ সাড়ে ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। ঢাকায় প্রায় ৬৩ হাজার এবং বাকি ৫৩ হাজার ঢাকার বাইরে পরীক্ষা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় একটি তুমুল প্রতিযোগিতা হবে। এটার (ক-ইউনিট) পরিধি অনেক বড়।’
পরিবেশ-ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আসা আমাদের শিক্ষার্থীরা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা পরিবেশকে সুন্দর রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল। তবে একটি বিষয়ে পরিবর্তন আমাদের লাগবে। পরীক্ষার দিনগুলোতে যখন ক্যাম্পাসে অনেক জনসমাগম হয়, তখন যাতে গাড়ি, যানবাহনগুলো বেশি প্রবেশ না করে। আমরা যাতে বেশি ভিড় এখানে না করি। পরীক্ষার্থীদের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তার জন্য আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় সুযোগ সুবিধা রাখা হয়।’
অভিভাবকদের ক্যাম্পাসে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিজেদের মতো করে বড় হতে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তাদের (পরীক্ষার্থী) সবার বয়স আঠারো বছর, তারা প্রত্যেকেই খুবই বুদ্ধিমান ও দক্ষতাসম্পন্ন। সমাজ, মানুষ, জাতি, সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের নানাভাবে পরিচয় ঘটুক। এতে করে তারা দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হওয়ার জন্য শক্তি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশকে চিনুক, মানুষের সঙ্গে মিশুক। এই মিথষ্ক্রিয়া প্রয়োজন আছে। এটি যখন যে নিজে থেকে করবে তখন তার দক্ষতা, মনোবল ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের সবসময় অভিভাবকদের চামচ দিয়ে খাইয়ে দেওয়ার দরকার নেই। এখন যেহেতু তাদের বয়স হয়েছে, সেহেতু তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিজেদের মতো কাজ করলে তাদের সাবলম্বী হওয়ার পথ তৈরি হবে।’