রিফাত রহমান সাদিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের উদ্যোগে টিএসসিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল এন্ড রিসার্চ ফেয়ার ২০২২। এই ফেস্টিভ্যালে বর্তমান শিক্ষার্থী ও স্নাতকদের সরাসরি চাকরির সুযোগ ও কর্মক্ষেত্রে আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের-এর প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়।
দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। ফেস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের বর্তমান ও সদ্য পাশ করা শিক্ষার্থীরা চাকরির জন্য তাদের জীবন বিত্তান্ত জমা দেন। এসময় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকেরা ফেস্টে অংশগ্রহন করা আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ৫ টি বিভাগ (ভূগোল ও পরিবেশ,ভূতত্ত্ব,সমুদ্র বিজ্ঞান,ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলেন্স,আবহাওয়া বিজ্ঞান) ও অন্যান্য আরো ৩৫ টি প্রতিষ্ঠানের স্টল পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আখতারুজ্জামান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য বলেন, “আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ফেস্টিভাল আয়োজনের অগ্রনী ভূমিকা পালন করলো।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ধারাবাহিকতায় এমন আরো ক্যারিয়ার ফেস্টিভাল আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান।”তিনি আরো বলেন,”আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।” শিক্ষকদের উদ্দ্যেশে তিনি অনুরোধ জানান,”শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার শিক্ষা দেওয়ার।”
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ,উপ-উপাচার্য(শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের সাবেক ডিন এবং ঢাবির বর্তমান উপ-উপাচার্য(শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন,”দেশের জিডিপি টু ডিজিটে উন্নীত করতে সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহারের বিকল্প নেই।পাশাপাশি তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭৪ সালে সমুদ্র সংক্রান্ত আইন নীতিমালা প্রয়োগ করেন।”দেশের পরিবেশ ও ভূ-অভ্যন্তরিণ সম্পদের গবেষণা ও এর ব্যবহারে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের অবদান তিনি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন,ঢাবির আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও উক্ত অনুষ্ঠানের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো: জিল্লুর রহমান।এবং সদস্য সচিব ছিলেন সমুদ্র বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কে এম আজম চৌধুরী।এছাড়াও অনুষদটির পাঁচটি বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।