বৈসাবিসহ আদিজনপদের উৎসব উপলক্ষ্যে ঢাবি উপাচার্যের শুভেচ্ছা

42

বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, চাংক্রান্ত ও বিহু উৎসব উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা,স্রো, অহমিয়া আদিবাসী সম্প্রদায়সহ সকলের সুখ, শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।  
১১ এপ্রিল সোমবার এক শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, বৈসাবি উৎসবসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের উৎসব পাহাড়ি জনপদের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব। আদিকাল থেকেই পাহাড়ে বসবাসরত সকল আদিবাসী সম্প্রদায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এসব উৎসব পালন করে আসছে। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এসব উৎসব উপলক্ষ্যে প্রতি বছর আদি জনপদে নব আনন্দে জাগে মহা মিলনমেলা। দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, জলকেলিসহ আনন্দদায়ক নানা আয়োজনের এই উৎসবের মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। মূলতঃ বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, চাংক্রান্ত ও বিহু উৎসবের রয়েছে এক সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক আবেদন। এসব আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এসব ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা অত্যাবশ্যক বলে উপাচার্য মনে করেন।
উপাচার্য তিন দিনব্যাপী আদি জনপদে এই জাঁকজমকপূর্ণ উৎসবের সকল আয়োজনের সফলতা কামনা করেন। নতুন বছরে সব ভেদাভেদ ভুলে সকলে সাম্য, মৈত্রী, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসব উৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জীবনে নতুন আশা ও সম্ভাবনা জাগিয়ে উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি সাধিত হবে বলে উপাচার্য প্রত্যাশা করেন। 

এই লেখাটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে পারেন।

  • Facebook Comments