ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন। (ছবি: ঢাবি জনসংযোগ)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদযাপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, রাজনৈতিক দল, সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই সহযোগিতা চান।
এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ্, যুগ্ম-সমন্বয়কারী ও শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, যুগ্ম-সমন্বয়কারী ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে গত বছরের ন্যায় এবছরও সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২ জন একসঙ্গে শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সকলকে অবশ্যই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে আগত সকলকে করোনা টিকা সনদ সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় ৩ ফুট পর পর চিহ্ন থাকবে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এক্ষেত্রে যথাযথভাবে রুটম্যাপ অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া, বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বেচ্ছাসেবকগণ হ্যান্ড মাইক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রচারণা চালাবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিও তারা মনিটর করবেন। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে উপাচার্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান।