রিফাত রহমান সাদিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের পুকুর পাড়ের সৌন্দর্যবর্ধন,বসার বেঞ্চ নির্মাণ ও ঘাটলা সংস্কার কাজের শুভ উদ্বোধন আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী(অতিরিক্ত সচিব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাবির প্রক্টোর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান,পল্লিকবি জসিমউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহীন খাঁন।শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভ্রাতুষ্পুত্রী নাজনীন হক মিমি।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন,”শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশের একটি হল।এই হলের সৌন্দর্যবর্ধন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উদার মনোভাব পোষণ করে।তিনি হলের এই সৌন্দর্যবর্ধন,বসার বেঞ্চ নির্মান এবং পুকুর ঘাটের সংস্কার কাজের প্রশংসা করে হলের প্রাধ্যক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরও এই কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এরূপ কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন।ঢাবির প্রক্টোর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান উক্ত হলের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং পুকুরের গুরুত্ব ঢাকার পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান।বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আশেপাশের এলাকাকে শীতল রাখতে ঢাবিতে বিদ্যমান জলাধার গুলোর গুরুত্ব অপরিসীম বলে তিনি উল্লেখ করেন।পল্লি কবি জসিমউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষের কাজের প্রশাংসা করে বলেন,তিনি একজন ডায়নামিক মানুষ।কাজ করতে তিনি পছন্দ করেন।এছাড়াও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভ্রাতুষ্পুত্রী নাজনীন হক মিমি এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেন।তিনি বলেন,পরিচ্ছন্ন থাকা সৌন্দর্য্যের প্রথম শর্ত।নিজের হলের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি ছাত্রদের সহায়তা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে উক্ত হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.আব্দুর রহিম বলেন,”একজন প্রভোস্ট হিসেবে আমি হলের আনাচে-কানাচে স্বশরীরে যেয়ে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করি।কারণ আমি উপলব্ধি করার চেষ্টা করি যে আমার হলের শিক্ষার্থীরা কি অবস্থার মধ্যে আছে।তিনি আরো বলেন,ধারাবাহিক ভাবে হলের ক্যান্টিনকে সংস্কার করা হবে।হলে একটি স্মার্ট সেলুন করার কথাও তিনি জানান।তিনি ছাত্রদের জন্য একটি সুন্দর হল উপহার দিতে চান বলে উল্লেখ করেন।
ডিইউ টাইমজের এক সাক্ষাতকারে উক্ত হলের শিক্ষার্থী হল তানভীর মাহতাব বলেন,হল ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করেছিলাম।তাতে হলের সৌন্দর্যবর্ধন,বসার বেঞ্চ নির্মান এবং পুকুরঘাটের সংস্কারের বিষয়টি উল্লেখ ছিলো।হল প্রশাসন এ কাজটি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করেছে।এজন্য প্রাধ্যক্ষ স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।
বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে উক্ত আয়োজনের পরিসমাপ্তি করা হয়।