ঢাবি শিক্ষকের মহানুভবতা

55

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ শফি তার জীবনের সকল উপার্জন বিলিয়ে নিজ বিভাগের ভবন নির্মাণের জন্য দান করে শিক্ষকতা পেশাকে মহিমান্বিত করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পুকুরের উত্তর পারে লাল ইটের একটি ভবন। মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের নিজস্ব ভবন। অর্থাভাবে নির্মাণকাজ আটকে ছিল ১৫ বছর। নিজের জমানো ৭০ লাখ টাকা দিয়ে সেই আটকে যাওয়া ভবনটির প্রাণ এনে দিলেন। নিজের অবসরের টাকা আর জমি বিক্রি করা টাকা সব অকাতরে দান করলেন নিজেরই কর্মস্থলের ভবন নির্মাণে।

তার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়াননি। শ্রেণীকক্ষে পড়ানো, বিভাগের উন্নয়ন, গবেষণা নিয়েই শিক্ষকতা জীবন কাটিয়েছেন। পাঁচটি গবেষণাগ্রন্থ, একটি আত্মজীবনী, ৭০টির মতো প্রবন্ধ প্রকাশিত আছে। এছাড়াও তার নিজ বাড়ি বগুড়ার সান্তাহারে বিপি হাইস্কুলে ২০০১ সালে বাবার নামে চালু করেন ‘আবদুল লতিফ ছাত্রবৃত্তি কল্যাণ ফান্ড’। তাছাড়া মায়ের নামে পাশের কলসা আহসানউল্লাহ ইনস্টিটিউশনে চালু করেন ‘আমেনা খাতুন ছাত্রীবৃত্তি কল্যাণ ফান্ড’। ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন লাখ টাকায় গঠন করেন ‘আমেনা-লতিফ ট্রাস্ট ফান্ড’। এখান থেকে প্রতিবছর মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের তিনজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। পরের বছর নিজের নামে গঠন করেন ‘ড. মোহাম্মদ শফি ট্রাস্ট ফান্ড’, এখান থেকেও দুজন কৃতী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়।

এই লেখাটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে পারেন।

  • Facebook Comments