মো: জায়েদ আব্দুর রাজ্জাক
এবারও আ্যমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব পেট্রোলিয়াম জিওলজিস্ট (এএপিজি) কর্তৃক প্রদানকৃত এল.অস্টিন উইক আন্ডারগ্র্যাজুয়েট গ্র্যান্ট পাওয়ার গৌরব অর্জন করলো ঢাবির ভূতত্ত্ব বিভাগের ৭ শিক্ষার্থী। অত্র বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গোবিন্দ বসাক রাহুল, নওশাদ হাসান সাদ, ফাতিমা অনামিকা ও মেশকাত ওয়াফি এবং ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাহবুব আবরার রহমান, তাসকিন মুবাশ্বির ও মাহির ফয়সাল এবছর গ্র্যান্টটির জন্য মনোনীত হন। ২০১৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এই এক কালীন গ্র্যান্টটি পেয়ে আসছে ঢাবির ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, স্নাতক পর্যায়ে ভূতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রমকে আরো উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থাটি প্রতিবছর সারাবিশ্বের হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীদেরকে তাদের গবেষণার বিষয়, একাডেমিক সাফল্য এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে এই গ্র্যান্টটি দিয়ে থাকে। এর আগে ঢাবি থেকে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী এটি অর্জন করলেও ২০২০ সালে ১২ জন এবং ২০২১ সালে ২১ জন শিক্ষার্থী এই গ্র্যন্টটি অর্জন করে যা একবছরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্জনের রেকর্ড করে। এছাড়াও ভূতত্ত্ব বিভাগের চারটি চ্যাপ্টার যথাক্রমে- ঢাকা ইউনিভার্সিটি এএপিজি স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার , এসপিই-ঢাকা ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টার, ইএজিই-ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার এবং ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা জিওফিজিক্যাল সোসাইটি-এসইজি তাদের প্রত্যেক বছরের কার্যক্রমের সফলতার ভিত্তিতে চ্যাপ্টার হিসেবে এই গ্র্যান্ট পাওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আরেকটি সংস্থা, সোসাইটি অব এক্সপ্লোরেশন জিওফিজিসিস্ট (এসইজি) কর্তৃক প্রদানকৃত আরেকটি স্কলারশিপ অর্জন করে ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা নাওয়ার মায়ীশা। এর আগে ২০২২ সালেও ঢাবির একমাত্র শিক্ষার্থী হিসেবে এই স্কলারশিপটি লাভ করার গৌরব অর্জন করে সে। সারাবিশ্ব থেকে ভূতত্ত্ব ও ভূপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তাদের একাডেমিক সাফল্য, গবেষণার বিষয় এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে এসইজি এই স্কলারশিপটি প্রদান করে থাকে। টানা দুইবার বাংলাদেশ থেকে একমাত্র শিক্ষার্থী হিসেবে আনিকা নাওয়ার মায়ীশা এই স্কলারশিপটি লাভ করার কৃতিত্ব অর্জন করে।