ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক ৩০ জুন অবসর নিয়েছেন। আগামী এক বছর তিনি এলপিআরে থাকবেন। অনুষদটির সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অন্যতম প্রধান অধ্যাপক হিসেবে ১৯৮৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর কর্মরত ছিলেন। তার ছাত্র, ছাত্রীরা এই অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।বিজ্ঞাপন
অসংখ্য মেধাবী শিক্ষাবিদ, গবেষক ও প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা তৈরির নায়ক ড. আবদুল মালেক। বিদায় বেলায় বলেছেন, ‘আমার সাফল্য আমার ছাত্র, ছাত্রী ও সহকর্মীরা বলবেন।’
তার অন্যতম ছাত্র ড. এম. অহিদুজ্জামান সাবেক উপাচার্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক বিভাগীয় প্রধান শিক্ষা প্রশাসন ও নেতৃত্ব বিভাগ। এই অধ্যাপক বলেন, ‘স্যার আমারও শিক্ষক। এখানেই আমি তার ক্লাস করেছি, তার মতো গুণী শিক্ষকের কারণে আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি।
শিক্ষক ড. আবদুল মালেক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘স্যার অত্যন্ত পরিশীলিত জীবনযাপন করেন। তার জীবনে প্রতিটি কাজকে যত ভালোভাবে করা সম্ভব করেছেন। ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে তিনি সর্বশেষ এক বছর এক মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। রাত ১১ টা ১২টার সময়ও প্রয়োজনে যে কোনো নথিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। নিজেই চলে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থেকে দরকারে। স্যারের শত, শত ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বে, বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর।’
ড. আবদুল মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। এই বিভাগেরই অত্যন্ত কৃতী ছাত্র ছিলেন। করোনাভাইরাসের আক্রমণের মধ্যে অনুষদের বিপুল ছাত্র, ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন তারা। ছাত্রবান্ধব এই শিক্ষক আবাসিক হলের দায়িত্ব পালনের সময় খাবারের ভালো মান ও অধ্যাপনা জীবনে ছাত্রছাত্রীদের খবরাখবর নিয়ে, তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সাহায্য করে আজও বিখ্যাত। তার ২০টি অভিসন্দর্ভ প্রকাশিত হয়েছে আইইআরের টিচার্স ওয়ার্ল্ড, ঢাকা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ভলিউম, ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টাডিজ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি জানার্ল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকাতে। আছে তিনটি বই।
তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিক্ষা চিন্তক ও দেশের অন্যতম প্রধান শিক্ষা-সমাজ বিজ্ঞানী।
অবসর গ্রহণকালে দায়িত্বভার অধ্যাপক ড. আবদুল হালিমের কাছে অর্পণ করেছেন।